** ‘স্নাইপার নেস্ট’-এর সন্ধান, ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ**
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে তার সরকারি বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান-এর পার্কিংয়ের কাছাকাছি একটি সন্দেহজনক কাঠামোর সন্ধান পাওয়া গেছে, যা ‘স্নাইপার নেস্ট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে নিশানা করার জন্য স্নাইপাররা সাধারণত এই ধরনের কাঠামো ব্যবহার করে থাকে। এই আবিষ্কারের পর থেকেই বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ প্রথম এই চাঞ্চল্যকর খবরটি সামনে আনে। তাদের তথ্যমতে, সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে গাছের ডালে কিছু পাইপ জড়িয়ে তৈরি করা এই সন্দেহজনক কাঠামোটি খুঁজে পান। কাঠামোটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যা দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে নজর রাখার জন্য একটি আদর্শ স্থান হতে পারে।
যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, ওই স্থান থেকে কোনো গুলি বা বিস্ফোরক বস্তু উদ্ধার করা হয়নি, তবুও এর উদ্দেশ্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এটি আসলেই কোনো স্নাইপার বন্দুকধারীর স্থান ছিল, নাকি গাছের মধ্যে পড়ে থাকা কোনো পুরনো বা অব্যবহৃত বস্তু— তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিছু সূত্র ধারণা করছে যে, এই অঞ্চলটি শিকারীরা, বিশেষ করে আক্রমণাত্মক সবুজ আইগুয়ানা শিকারের জন্য ব্যবহার করতে পারে।
তবে, এফবিআই পরিচালক ক্যাশ পটেল ফক্স নিউজকে নিশ্চিত করেছেন যে, “প্রেসিডেন্টের ওয়েস্ট পাম বিচে ফেরার আগে একটি উঁচু জায়গায় এই স্থানের আবিষ্কার হয়, যা এয়ার ফোর্স ওয়ান ল্যান্ডিং জোনের দৃশ্যপটে ছিল।” তিনি আরও জানান যে, ওই স্থানে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং এফবিআই বর্তমানে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে।
সাম্প্রতিক নির্মাণকাজের কারণে এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানটি অস্থায়ীভাবে এমন একটি অঞ্চলে রাখা হচ্ছিল, যেখানে সাধারণত ব্যক্তিগত বিমান পার্ক করা হয়। এই সন্দেহজনক কাঠামোর উপস্থিতির কারণে গত রোববার নিরাপত্তার খাতিরে ট্রাম্পকে তুলনামূলক ছোট সিঁড়ি ব্যবহার করে বিমানে উঠতে হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সামান্যতম ঝুঁকিও অত্যন্ত গুরুতর বলে বিবেচিত হয়। ফ্লোরিডার এই ঘটনাটি এক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে – এটি কি সত্যিই কোনো অশুভ উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত, নাকি নিছকই এক ভুল বোঝাবুঝি? তদন্তের ফলাফলই হয়তো এর চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারবে। তবে, এই ঘটনা মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে এনে দিয়েছে।



