দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান – এই খবরটি এখন রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আলোচনার বিষয়। আর এই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজধানীর গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি, যেখানে তিনি ফিরেই উঠবেন বলে জানা গেছে।
**দীর্ঘ নির্বাসন ও প্রত্যাশার অধ্যায়**
২০০৭ সালের পর থেকে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই দীর্ঘ নির্বাসন তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যেমন একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়, তেমনি দলের নেতা-কর্মীদের কাছেও তাঁর অনুপস্থিতি ছিল এক গভীর শূন্যতার প্রতীক। লন্ডন থেকে তিনি পরোক্ষভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি ‘শিগগিরই’ দেশে ফিরছেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। এই খবরটি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও আশার সঞ্চার করেছে।
**প্রস্তুত করা হয়েছে ১৯৬ নম্বর বাড়ি**
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি। জানা গেছে, তাঁর দেশে ফেরা উপলক্ষে বাড়িটি নতুন করে সাজানো হয়েছে এবং বসবাসের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে বাড়িটি এখন আবার প্রাণবন্ত হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন করে এটিকে বসবাস উপযোগী করে তোলা হয়েছে, যাতে তারেক রহমান দেশে ফিরেই নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সেখানে থাকতে পারেন। এটি কেবল একটি ঠিকানা নয়, এটি তাঁর ঘরে ফেরার প্রতীক, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের প্রতিচ্ছবি।
**রাজনৈতিক প্রভাব ও জল্পনা**
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনের খবর নিঃসন্দেহে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও আশার সঞ্চার করেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পরোক্ষভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে এলেও, এবার সরাসরি দেশে ফিরে তিনি দল পরিচালনায় কতটা সক্রিয় হবেন, তা নিয়ে যেমন কৌতূহল রয়েছে, তেমনি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক অঙ্গনেও এর প্রভাব নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও জল্পনা। তাঁর আগমন দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ বা ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
**শেষ কথা**
গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি এখন শুধু একটি ইটের গাঁথুনি নয়, এটি হয়ে উঠেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবং এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনার প্রতীক। তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনটি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন দেখার বিষয়, তাঁর এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে কী নতুন বার্তা নিয়ে আসে এবং এই ঐতিহাসিক বাড়িটি কী নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হয়।



