সাতক্ষীরাবাসীর জন্য এক মন খারাপ করা খবর! ২০১৯ সাল থেকে চালু হওয়া ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট, রোববার, বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডেপুটি চিফ অপারেটিং অফিসার স্বাক্ষরিত এক পত্রে ভবন মালিককে ঘর ছাড়ার কথা জানানো হয়েছে। এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে সাতক্ষীরাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর ভিসা প্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডেপুটি চিফ অপারেটিং অফিসার স্বাক্ষরিত পত্রে ভবন মালিককে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১ অক্টোবর, বুধবার থেকেই ভবনটি ভিসা সেন্টারমুক্ত করা হবে। অর্থাৎ, আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সাতক্ষীরায় ভারতীয় ভিসা আবেদনের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকায় সংগ্রাম প্লাজায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশন এই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারটি চালু করেছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সীমান্ত সংলগ্ন সাতক্ষীরা এবং এর আশপাশের জেলার মানুষের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তি সহজ করা। সেন্টারটি চালু হওয়ার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি ফিরে আসে। আগে ভিসা আবেদনের জন্য যাদের যশোর, খুলনা কিংবা সুদূর ঢাকায় যেতে হতো, তারা খুব সহজেই স্থানীয়ভাবে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছিলেন। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছিল।
ভিসা সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ কর্তৃপক্ষ এখনো পরিষ্কারভাবে জানায়নি। এটি কি সাময়িক সিদ্ধান্ত নাকি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়েও কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘোষণায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, রোগী, শিক্ষার্থী এবং পর্যটকদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
সাতক্ষীরায় ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এই অঞ্চলের ভিসা আবেদনকারীদের নতুন করে সমস্যায় পড়তে হবে। যাদের দ্রুত ভারত যাওয়ার প্রয়োজন, তাদের হয় যশোর, খুলনা অথবা ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের আবেদন জমা দিতে হবে। এতে একদিকে যেমন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে, তেমনি মূল্যবান সময়ও নষ্ট হবে। বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এবং জরুরি প্রয়োজনে ভারতে গমনেচ্ছুদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
স্থানীয়রা আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে অথবা সাতক্ষীরার গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত একটি বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়।



