## সব দলের মনোনীত উপদেষ্টা সরকারে থাকলেও ব্যর্থতার দায়ভার দেওয়া হচ্ছে শুধু এনসিপিকে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যখন সরকারের কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থতা দেখা দেয়, তখন দায়ভারের পুরোটাই এনসিপি (জাতীয় সংসদে বিরোধী দল)-র ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা কি তাই? একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন দলের মনোনীত উপদেষ্টা, মন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব দলের সদস্যরাও থাকেন। তাহলে কেন ব্যর্থতার দায় শুধু এনসিপির ওপর চাপানো হয়?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন। প্রথমত, বিরোধী দলকে সরকারের সমালোচনা করার অধিকার আছে। এই সমালোচনা কখনও কখনও সরকারের অসুবিধা হতে পারে। সুতরাং, সরকারের ব্যর্থতার দায় বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দেওয়া একধরণের রক্ষণাত্মক কৌশল হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সরকারের অভ্যন্তরীণ সংকট এবং দুর্বলতা গুপ্ত রাখার জন্য এই রকম দায় চাপানো হতে পারে। সরকার নিজের অযোগ্যতা ছাপিয়ে দেওয়ার জন্য বিরোধী দলকে ভিলেনের ভূমিকায় রাখতে চায়। এতে সরকারের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
তৃতীয়ত, মাধ্যমগুলোর ভূমিকাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মাধ্যম সরকার-পক্ষীয় বক্তব্য প্রচারে অধিক গুরুত্ব দেয় এবং বিরোধী দলের বক্তব্য অবহেলা করে। এতে জনগণের মধ্যে একটা ভুল ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে শুধুমাত্র বিরোধী দলই সরকারের ব্যর্থতার জন্য দায়ী।
শেষ কথা, একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য সব দলের সহযোগিতা অপরিহার্য। সরকারের ব্যর্থতার দায় শুধুমাত্র একটি দলের ওপর চাপানো নয়, বরং সমস্যা সমাধানের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিরন্তর চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। একটা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সবার সহযোগিতা আবশ্যক। তাই, শুধু এনসিপিকে দোষারোপ করার বদলে, সরকারের ব্যর্থতার মূল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত এবং সমাধান উদ্ভাবনের জন্য সকল পক্ষের সাথে কাজ করা উচিত।