## ডাকসুতে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল: বিতর্কের অবসান?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় এই চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভিপি সাদিক কায়েম জানান, শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ডাকসুর গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে অগণতান্ত্রিকভাবে এই সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ছিল। আজকের সভায় সেই অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ রেজুলেশনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে ডাকসু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় এই কার্যনির্বাহী সভা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় ডাকসুর ভিপি, জিএস ও এজিএসসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতিতেই সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে ডাকসু থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় ডাকসুর ভিপি ছিলেন নুরুল হক (নুর) এবং জিএস ছিলেন গোলাম রাব্বানী। সেই সময়েও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকে এর বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
দীর্ঘদিনের সেই বিতর্কিত অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ডাকসুর বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে গণতন্ত্র ও গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ডাকসু তার নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।



