**রমজান ও ঈদুল ফিতর কবে হতে পারে? মধ্যপ্রাচ্যের জ্যোতির্বিদদের সম্ভাব্য ঘোষণা**
মুসলিম উম্মাহর জন্য দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আকাঙ্ক্ষিত উৎসব হলো পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর। প্রতি বছর এই পবিত্র মাস ও উৎসবের জন্য মুসলিমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। ২০২৬ সালে এই পবিত্র মাস ও উৎসব কবে উদযাপিত হতে পারে, তা নিয়ে সবার মনেই কৌতূহল। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের জ্যোতির্বিদরা ২০২৬ সালের পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছেন, যা মুসলিমদের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করবে।
**রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ**
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির সভাপতি ইব্রাহিম আল-জারওয়ান ২০২৬ সালের পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন। জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছেন যে, ২০২৬ সালের **১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)** মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। আর পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ হলো **২০ মার্চ (শুক্রবার)**।
**চাঁদ দেখার হিসাব-নিকাশ**
আল-জারওয়ানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৪৪৭ হিজরি সনের রমজানের নতুন চাঁদ ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আকাশে উঠবে। তবে চাঁদ দেখা নিয়ে এখানে একটি বিশেষ দিক রয়েছে। ওই দিন সূর্যাস্তের মাত্র এক মিনিট পরই চাঁদ ডুবে যাবে। ফলে খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী, চাঁদ খালি চোখে দেখা না গেলে পরদিন রোজা শুরু হয় না।
এ কারণেই, আল-জারওয়ান ব্যাখ্যা করেছেন যে, ১৭ ফেব্রুয়ারি চাঁদ উঠলেও পরদিন অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি রোজা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ীই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজানের প্রথম দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং ঈদুল ফিতর ২০ মার্চ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
**গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য**
তবে, এটি শুধুমাত্র জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাবের উপর ভিত্তি করে একটি সম্ভাব্য তারিখ। ইসলামী বিধান অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতরের চূড়ান্ত তারিখ সংশ্লিষ্ট দেশের চাঁদ দেখা কমিটি বা ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। মেঘলা আকাশ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে চাঁদ দেখা না গেলে, সাধারণত শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর রমজান শুরু হয়।
আশা করা যায়, এই আগাম তথ্য মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র রমজান ও ঈদের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে। মহান আল্লাহ আমাদের সকলের রোজা ও ইবাদত কবুল করুন।



