## এখনও জ্বলছে আগুন, ভেঙে পড়েছে ভবনের ছাদ: ইপিজেড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ইপিজেড এলাকার একটি কারখানায় এখনও জ্বলছে দাউ দাউ করে আগুন, এবং তার জেরে ভবনের ছাদও ভেঙে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আগুনের সূত্রপাত হলেও, রাত গভীর হওয়ার পরেও আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, আশপাশের অন্যান্য ভবনও এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।
**আগুন নেভাতে ২৫টি ইউনিট, আশপাশের ভবন ঝুঁকিতে**
ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে একটানা আগুন নেভানোর কাজ করে যাচ্ছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকেও আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, দূর থেকে এর লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছিল। আগুনের এই ভয়াবহতা এবং তীব্রতা আশপাশের অন্যান্য ভবনকেও ঝুঁকিতে ফেলেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ভেতরে তাপমাত্রার অত্যাধিক বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে কারখানার একাংশের ছাদ ভেঙে পড়েছে, যা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী এবং আগুনের উত্তাপ এতটাই বেশি যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
**কোথা থেকে শুরু, কোথায় ছড়াল?**
ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে। ইপিজেডের ৫ নম্বর ইউনিটের একটি কারখানায় প্রথম আগুন লাগে। তবে আগুনের ব্যাপকতা এতটাই ছিল যে, খুব দ্রুতই তা পাশের ‘জিন হং মেডিকেল’ নামের অন্য একটি কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুইটি কারখানা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারখানাগুলোতে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
**ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক, কারণ এখনো অস্পষ্ট**
অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এর সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য জরুরি সেবার কর্মীরাও উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করছেন। আগুনের ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এর পরিমাণ অনেক বেশি হবে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, দ্রুততম সময়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।



