**বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে ইসির ‘আইন-শৃঙ্খলা’ বৈঠক চলছে: সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ**
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন সরগরম আলোচনা, ঠিক তখনই একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নির্বাচনকালীন সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসির সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই অংশ।
**বৈঠকের বিস্তারিত: কারা উপস্থিত, কে সভাপতিত্ব করছেন?**
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয়। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এই ক্রান্তিলগ্নে বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন, যা এই বৈঠকের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এতে অংশ নিয়েছেন তিন বাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধিরা, যারা দেশের সামরিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও উপস্থিত আছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), যিনি দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্বে রয়েছেন। র্যাব, বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ), কোস্ট গার্ডসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও তাঁদের নিজ নিজ এলাকার নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরতে এই বৈঠকে সামিল হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনাররাও এই সময় উপস্থিত থেকে তাঁদের মূল্যবান মতামত ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
**কেন এই বৈঠক এত গুরুত্বপূর্ণ?**
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অপরিহার্য। এই বৈঠকের মাধ্যমে ইসি বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে এবং নির্বাচনকালীন তাদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করবে।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, নির্বাচনী এলাকায় টহল, স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতকরণ, গুজব প্রতিরোধ এবং সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে এই বৈঠকে। প্রতিটি বাহিনীর কর্মপরিধি এবং তাদের চ্যালেঞ্জগুলো একত্রিত করে একটি সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত সুচারুভাবে পরিচালিত হবে এবং ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। আমরা আশা করি, এই বৈঠকের ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে একটি সফল নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে।



