## বাউল আবুল সরকারের কঠোর শাস্তি দাবি করলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন
**প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার**
সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে ঘিরে চলমান বিতর্কে এবার ভিন্ন সুর শোনা গেল গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের কণ্ঠে। যখন অনেকেই আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার, তখন তিনি তার মুক্তির নয়, বরং কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিস্তারিত স্ট্যাটাসে তিনি এই অবস্থান ব্যক্ত করেন।
রাশেদ খাঁন তার পোস্টে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, শিল্পীরা তাদের শিল্পচর্চায় স্বাধীন হলেও কিছু মৌলিক সীমারেখা রয়েছে যা অতিক্রম করা উচিত নয়। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, “শিল্পীরা তাদের শিল্পচর্চায় স্বাধীন হলেও আল্লাহ, ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অধিকার কারও নেই।” এই মন্তব্যর মাধ্যমে তিনি শিল্পীর স্বাধীনতার সাথে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধার ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাউল আবুল সরকারের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁন আরও কঠোর ভাষায় তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন, “বাউল আবুল সরকারের বক্তব্য একটু আগে শুনলাম। সে ইচ্ছাকৃতভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এমন কটূক্তি করেছে। আপনি শিল্পী, আপনার শিল্পচর্চায় কেউ বাধা দেবে না; কিন্তু ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অধিকার আপনার নেই। এমনকি হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দুধর্মাবলম্বীদের নিয়েও কটূক্তির অধিকার কারও নেই।” তার এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি আবুল সরকারের মন্তব্যকে কেবল অজ্ঞতাপ্রসূত ভুল হিসেবে দেখছেন না, বরং এর পেছনে সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য দেখেছেন।
রাশেদ খাঁন আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের সংবিধান এবং সামাজিক মূল্যবোধ অনুযায়ী, দেশে সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে, কিন্তু ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। যারা আবুল সরকারের মুক্তি দাবি করছেন, তাদের প্রতি তার আহ্বান, তারা যেন প্রথমে আবুল সরকারের বিতর্কিত বক্তব্যগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা মনে করেন, আবুল সরকারের মন্তব্য সমগ্র মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিতে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার একটি অপচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তার যথাযথ শাস্তি হলে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস পাবে না।” তিনি সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমরা সমাজে শান্তি চাই; ধর্ম নিয়ে বিভাজন বা বিতর্ক চাই না।”
মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের এই কঠোর অবস্থান সমাজে ধর্মীয় অনুভূতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার গুরুত্বকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়। বাউল আবুল সরকারের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার কঠোর শাস্তি দাবি করে তিনি একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, শিল্পের স্বাধীনতার নামে কোনো ধর্মকে অবমাননা করার সুযোগ নেই।
—



