## দুদকের মামলায় সাবেক সাব-রেজিস্ট্রারসহ ৪ জনের কারাদণ্ড: দুর্নীতি দমনে আরেকটি দৃষ্টান্ত
দুর্নীতি দমনে সরকারের সদিচ্ছা এবং বিচার বিভাগের তৎপরতা আবারও প্রমাণিত হলো ময়মনসিংহের ভালুকায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই পৃথক মামলায় ভালুকার সাবেক সাব-রেজিস্ট্রারসহ চারজনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস প্রতিটি মামলায় ৪ বছর করে কারাদণ্ডের এই রায় ঘোষণা করেন।
এই রায় সমাজে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং অপরাধীদের জন্য একটি কঠোর বার্তা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
**মামলার বিবরণ ও দণ্ডপ্রাপ্তরা:**
আদালত সূত্র জানায়, দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন – ভালুকার সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার ফজলার রহমান। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও জামিরদিয়া এলাকার খোকা মিয়া, এবং দলিল লেখক আকরাম হোসেন জুয়েল (সনদ নং ৬০৯৫) এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। দলিলের সনাক্তকারী হিসেবে অভিযুক্ত পালগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে রুহুল আমিনও একই দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
এই চারজনকেই দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা দুইটি পৃথক মামলায় প্রতিটি মামলায় ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা তাদের অপরাধের গুরুত্ব তুলে ধরে।
**এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলীর বেকসুর খালাস:**
তবে, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলীকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন। বিচারক মামলার সকল তথ্যপ্রমাণ যাচাই-বাছাই করে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।
**এই রায়ের তাৎপর্য:**
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই রায় দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দুদকের সক্রিয়তা এবং বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা প্রমাণ করে। বিশেষ করে ভূমি সংক্রান্ত দুর্নীতি, যা সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির অন্যতম কারণ, তা রোধে এমন রায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক কাজে জড়িতদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে এবং সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
দেশের বিচার বিভাগ যে দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর, এই রায় তারই প্রতিফলন। আমরা আশা করি, এমন দৃষ্টান্তমূলক রায় সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আরও সহায়ক হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।



