ছাত্রীদের ভোটে নির্ধারিত হবে ডাকসু নির্বাচনের ফল?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন – একটা নাম শুনলেই উত্তেজনা, আলোচনা, এবং রাজনীতির ঝড় উঠে। এবারের নির্বাচন আরও বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, কারণ বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্রী ভোটারদের ভোটেই নির্ধারিত হবে ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল।
অনেক দিন ধরেই ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের সংখ্যা পুরুষ ছাত্রদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই বৃদ্ধিশীল সংখ্যা এবারের নির্বাচনে পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণভাবে বদলে দিতে পারে। তাই, প্রতিটি প্রার্থী দল ছাত্রী ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচারণা নয়, ছাত্রীদের বিশেষ চাহিদা এবং সমস্যা সম্পর্কে ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন যে, ছাত্রীরা একটা নির্দিষ্ট দল বা প্যানেলের প্রতি আগ্রহী হতে পারেন না। তাদের নির্বাচনী পছন্দের পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করে। শিক্ষা, নিরাপত্তা, ছাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, এবং ক্যাম্পাসে সামগ্রিক পরিবেশের উন্নয়ন — এই সব বিষয় ছাত্রী ভোটারদের মন জয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অন্যদিকে, অনেকেই মনে করেন ছাত্রীরা ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি কম আগ্রহী এবং তারা নতুন ধারার নেতৃত্ব এবং নীতি নিয়ে আসা প্রার্থীদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। এই অনুমান ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে।
এবারের ডাকসু নির্বাচন শুধুমাত্র ঢাবির ছাত্রদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি সারাদেশের জন্য একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ছাত্রীদের ভোট কিভাবে ফলাফল নির্ধারণ করবে, তার উত্তর নির্বাচনের পর ই জানা যাবে। তবে একটা কথা স্পষ্ট, ছাত্রী ভোটাররা এবারের নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে।