**চানখারপুলে আনাসসহ ৬ জন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ**
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছেন এলজিআরডি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তার এই সাক্ষ্যদান বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ট্রাইব্যুনালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদবৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে তার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এই হাই-প্রোফাইল সাক্ষীর উপস্থিতি মামলার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই চাঞ্চল্যকর মামলায় মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং বাকি চারজন পলাতক রয়েছেন।
* শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন
* কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া
* মো. ইমাজ হোসেন ইমন
* মো. নাসিরুল ইসলাম
পলাতক চার আসামি* সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান
* ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী
* রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম
* রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল
গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার পলাতক চার আসামিসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমেই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা দেশজুড়ে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল এক শোকাবহ দিন। সেদিন চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। সেই গুলিতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিকসহ মোট ছয়জন তরুণ প্রাণ হারান। এছাড়া, বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী হতাহত হন, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জোরালো করে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাক্ষ্যদান এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় এক নতুন মাত্রা যোগ করল। দেশবাসী তাকিয়ে আছে ন্যায়বিচারের আশায়, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীরা যাতে আইনের আওতায় আসে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি পায়, সে প্রত্যাশা সকলের।



