চট্টগ্রামের পুলিশ মহলে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ব্যারাকের টয়লেট থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা ও রহস্য। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে, এবং মৃত পুলিশ কর্মকর্তার নাম অহিদুর।
**ঘটনার সূত্রপাত:**
জানা যায়, এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে সকালে। পুলিশ ব্যারাকের টয়লেটে দীর্ঘদিন ধরে কোনো সাড়া না পেয়ে সহকর্মীদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধে। পরে ব্যারাকের টয়লেটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, অহিদুর ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
**যা ঘটেছিল ঘটনার দিন:**
পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাতে ডিউটি শেষে রোববার সকালে অহিদুর ব্যারাকের টয়লেটে যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আরেকজন পুলিশ সদস্য টয়লেটে যান এবং দেখতে পান যে টয়লেটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও টয়লেটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি উঁকি দিয়ে দেখেন ভেতরে একজন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।
তার কাছ থেকে খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রথমে টয়লেটের দরজা ভাঙা হয় এবং পরে অহিদুলকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে দ্রুত চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
**প্রশ্নের মুখে তদন্ত:**
এই ঘটনাটি বর্তমানে পুলিশ মহলে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এটি কি আত্মহত্যা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানানো হয়নি যে এটি আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনো কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে এবং তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।
একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার এমন রহস্যজনক মৃত্যু সত্যিই মর্মান্তিক ও প্রশ্নের জন্ম দেয়। আমরা আশা করি, দ্রুত এই ঘটনার পেছনের আসল কারণ উন্মোচিত হবে এবং সত্য বেরিয়ে আসবে। নিহত অহিদুরের পরিবার ও সহকর্মীরা এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের অপেক্ষায় রয়েছেন। আমরা মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
—



