## গতকাল রাতে কড়াইল বস্তিবাসীর খোঁজখবর নিতে ছুটে যান আমীরে জামায়াত: মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
রাজধানীর বুকে এক বিভীষিকাময় রাত পার করলো কড়াইল বস্তির শত শত পরিবার। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখা নিমেষেই কেড়ে নিয়েছে তাদের মাথার ছাদ, স্বপ্ন আর জীবনের সমস্ত সঞ্চয়। সবকিছু হারিয়ে যখন বস্তির অসহায় মানুষগুলো দিশেহারা, ঠিক তখনই মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সম্মানিত আমীরে জামায়াত, জননেতা ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বস্তিবাসীর সার্বিক খোঁজখবর নেন।
**আগুনের ভয়াবহতা ও সীমাহীন দুর্ভোগ:**
গতকাল রাতে হঠাৎ করেই কড়াইল বস্তিতে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুনের লেলিহান শিখা। ঘনবসতিপূর্ণ এবং অপরিকল্পিত এই বস্তিতে দাহ্য পদার্থের সহজলভ্যতা থাকায় আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পলকে অসংখ্য ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বস্তির নিম্ন আয়ের মানুষেরা দিনের পর দিন, মাস থেকে মাস একটু একটু করে যে স্বপ্ন ও সঞ্চয় গড়ে তুলেছিলেন, তা মুহূর্তেই আগুনের গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে। শীতের এই রাতে খোলা আকাশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে শত শত মানুষ, যাদের অন্ন, বস্ত্র ও আশ্রয় সবই কেড়ে নিয়েছে এই বিধ্বংসী আগুন। তাদের জীবনে নেমে এসেছে এক অনিশ্চিত অন্ধকার।
**তাৎক্ষণিক ছুটে গেলেন আমীরে জামায়াত:**
এমন সংকটময় মুহূর্তে যখন বস্তির মানুষজন চরম অসহায়ত্ব ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন, ঠিক তখনই তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান জননেতা ডা. শফিকুর রহমান। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই তিনি কালক্ষেপণ না করে দ্রুত কড়াইল বস্তির ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তার এই তাৎক্ষণিক উপস্থিতি বস্তিবাসীর মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেয়।
তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সরাসরি কথা বলেন, তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা তিনি নিজের চোখে দেখেন এবং মানুষের অসহায়ত্ব উপলব্ধি করেন। শুধু দূর থেকে খবর নেওয়া নয়, তাদের কাছে গিয়ে তাদের কথা শোনা এবং তাদের কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার এই উদ্যোগ ছিল ডা. শফিকুর রহমানের সংবেদনশীলতা ও মানবিকতার এক স্পষ্ট প্রতিফলন। তিনি বস্তিবাসীকে সান্ত্বনা দেন এবং এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
**সহমর্মিতা ও সহযোগিতার আহ্বান:**
অগ্নিকাণ্ডের শিকার বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলার পর ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের সাথেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই মানুষগুলো অত্যন্ত অসহায়। শীতের এই রাতে তারা সবকিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে এসেছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা সাধ্যমতো এই ক্ষতিগ্রস্ত ভাইবোনদের পাশে এসে দাঁড়ান।” তিনি এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং বস্তিবাসীর জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করার উপরও জোর দেন।
**প্রকৃত নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত:**
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের কড়াইল বস্তিতে তাৎক্ষণিক ছুটে যাওয়া কেবল একটি আনুষ্ঠানিক পরিদর্শন ছিল না। এটি ছিল আর্তপীড়িত মানুষের প্রতি একজন জননেতার গভীর সংবেদনশীলতা, মানবিকতা এবং দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার এই উপস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মনে কিছুটা হলেও সাহস ও আশার সঞ্চার করেছে। কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ড হয়তো তাদের ঘর কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু আমীরে জামায়াতের মতো জননেতাদের সহমর্মিতা ও মানবিক উদ্যোগ তাদের হৃদয়ে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে। আমরা আশা করি, সকলে মিলেমিশে এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠে ক্ষতিগ্রস্তরা আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে পারবেন।



