## আমরা ভয় পাই না : আখতার হোসেন
সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে জনাব আখতার হোসেন দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেছেন, “আমরা ভয় পাই না”। তাঁর এই সাহসী উচ্চারণ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক গভীর তাৎপর্য বহন করে। এটি কেবল একটি বাক্য নয়, বরং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা এবং দৃঢ় সংকল্পের প্রতিচ্ছবি। দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চলমান আলোচনা ও উদ্বেগের মধ্যে তাঁর এই বক্তব্য বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য।
জনাব আখতার হোসেনের মতে, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল, বিশেষত আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উপর সন্ত্রাস চাপিয়ে দিতে পারে বলে একটি গুরুতর উদ্বেগ বিদ্যমান। এই উদ্বেগ কেবল মৌখিক নয়, বরং রাজনৈতিক ইতিহাস এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট দ্বারাও সমর্থিত। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে যেখানে দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে এবং ভয়ের পরিবেশে দিনাতিপাত করবে। তবে, তাঁর মূল বার্তাটি হলো এই আশঙ্কাকে ভয় দিয়ে নয়, বরং সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে মোকাবেলা করা।
তবে, আখতার হোসেন এও স্মরণ করিয়ে দেন যে, বাংলাদেশের জনগণ কখনোই কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মানুষ তার সাহসের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অতীতেও স্বৈরাচারী ও নিপীড়নমূলক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, এমনকি জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। আওয়ামী লীগের অতীতের কার্যকলাপের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশের মানুষরা একইভাবে প্রতিবাদী হয়েছে এবং প্রতিরোধের ইতিহাস গড়ে তুলেছে। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটই বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এটি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের মাটি বরাবরই অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী জনশক্তির উর্বর ক্ষেত্র।
তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন যে, সামনের দিনগুলোতেও আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধে বাংলাদেশের মানুষরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এই ঐক্য কেবল একটি রাজনৈতিক স্লোগান নয়, বরং জাতীয় সংহতির এক অপরিহার্য প্রতিচ্ছবি। আখতার হোসেনের বিশ্বাস, বাংলাদেশের জনগণ সম্মিলিতভাবে এমন একটি শক্তি তৈরি করবে, যা কোনো দমন-পীড়ন বা সন্ত্রাসের কাছে পরাজিত হবে না। এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথ খুলে দেবে, যেখানে জনমত এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হবে সর্বোচ্চ প্রাধান্য।
তিনি আরও সুদৃঢ়ভাবে বলেন যে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ তাদের সন্ত্রাসকে নিয়ে আর ফিরে আসতে পারবে না। এদেশের মাটি এবং মানুষের চেতনা এমন কোনো শক্তির পুনরুত্থানকে বরদাস্ত করবে না, যা গণতন্ত্র ও জনঅধিকার খর্ব করতে উদ্যত। বাংলাদেশের মানুষ তাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে এবং যেকোনো প্রকার স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
জনাব আখতার হোসেনের এই সাহসী উচ্চারণ কেবল একটি বিবৃতি নয়, এটি বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের অন্তরে সুপ্ত আশা ও প্রতিরোধের মূর্ত প্রতীক। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ভয়কে জয় করে ঐক্যবদ্ধভাবে যেকোনো অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা সম্ভব। ‘আমরা ভয় পাই না’ – এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এক উন্নত ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যেখানে কোনো সন্ত্রাস বা স্বৈরাচারের স্থান নেই। এই প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এক শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের দিকে।



